Tech

ফাস্ট চার্জিং কি? ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি নিয়ে বিস্তারিত

প্রিয় বন্ধুরা  সারা রাত জেগে ইউটিউব দেখে বা পাবজি খেলে মোবাইল চার্জ দিতে ভুলে গেলেনএবং সকালে দেরী করে উঠে দেখলেন আপনাকে আর ৩০ মিনিটের মধ্যেই অফিসের উদ্দেশ্য যাত্রা করতে হবে অথচ মোবাইলের চার্জ শূন্য! এখন কি হবে? আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে আছে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি। আজকে আমরা এই পোস্ট এর মাধ্যমে ফাস্ট চার্জিং এর A-Z  জানব। প্রিয় পাঠক তাহলে আর দেরি না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালভাবে পড়ুন তাহলে  সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।

আমরা আমাদের মোবাইল বা ট্যাবলেটে যে চার্জার ব্যবহার করি, একটু লক্ষ্য করেই দেখে থাকবেন তার গায়ে লিখা থাকে, 5V-1A এই জাতীয় কিছু। এই V(volt) ও  A(অ্যাম্পিয়ার) এর গুনফলই হলো ক্ষমতা যার একক Watt। যেমন 5V-1V এর চার্জার এর ক্ষমতা হলো 5*1 = 5 Watt। 
যে চার্জারের ক্ষমতা যত বেশি, সেটি দিয়ে চার্জ করা যায় আরো দ্রুত।
২০১৩ সালের আগে প্রায় সব মোবাইল চার্জারই ছিলো ৫ ভোল্টের বা তার চেয়ে কম। কিন্তু ২০১৩ সালে এসে Qualcomm কোম্পানি ১০ ভোল্টের চার্জার বাজারে আনলো। এর মাধ্যমেই শুরু ফাস্ট চার্জিং এর যাত্রা। তারা তাদের এই চার্জিংকে নাম দিলো Quick Charging। এরপর থেকে নানা কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয় এই টেকনোলজি নিয়ে। যে চার্জারের ভোল্ট যত বেশি, তার চার্জিং ক্ষমতাও ততবেশি। বর্তমান বাজারে ২০ ওয়াট বা তার চেয়েও বেশি ক্ষমতার ফাস্ট চার্জিং চার্জার পাওয়া যায়।
low-full-battery-smartphone-flat-style-vector-illustration-106788-842

সব মোবাইল-ই কি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে?

না, সকল মোবাইল বা ট্যাবলেটই ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে না। কেবল বিশেষভাবে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সমর্থিত ব্যাটারী সম্পন্ন মোবাইল ডিভাইসই ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সাপোর্ট করে।

ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করে না এরূপ ডিভাইসে এই পদ্ধতিতে চার্জ দিলে কি হবে?

সাধারণতআমাদের মোবাইলগুলো চার্জার থেকে সে পরিমানই চার্জ গ্রহণ করে তার যেরূপ সামর্থ তার উপর ভিত্তি করে। কোন মোবাইল যদি ১০ ওয়াট চার্জ গ্রহণ করতে পারে এবং চার্জার যদি ২০ ওয়াট চার্জ দিতে সমর্থ হয়, তবুও মোবাইলটি কেবল ১০ ওয়াট চার্জই গ্রহণ করবে।
কিন্তু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে দেখা যায়,এরূপ ফাস্ট চার্জিং দেওয়ার ফলে আন-সাপোর্টেট ডিভাইস প্রচন্ড গরম হয়েবিস্ফোরণ ঘটে থাকে অথবা সার্কিট শক করে।
তাই প্রযুক্তিবিদেরাপরামর্শ দিয়ে থাকে, কোন মোবাইল কেনার সময় তার সাথে যে চার্জার দেওয়া থাকেশুধু সে চার্জার দিয়েই যেন মোবাইল চার্জ দেওয়া হয়। নতুবা হিতে বিপরীতও হতেপারে।
পরিশেষে, আপনার যদি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড মোবাইলথাকে তবে মোবাইল চার্জিং নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথার দিন শেষ।এই সুবিধা কাজেলাগিয়ে আপনি আপনার সময়ও বাচাতে পারেন। সাথে রাত জেগে ইউটিউব উপভোগ করতেপারেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল চার্জিং-এ দিলে মাত্র ৩০-৪০ মিনিটেই ৬০-৮০% পর্যন্ত চার্জ হয়ে যাবে!!
আজ এ পর্যন্ত। গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। এছাড়াও কোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তা আমাদের কমেন্ট করে জানান।অসংখ্য ধন্যবাদ।

Siam Shihab

Hello, I'm Siam Shihab. I write Content about all Trending News and Information. I'm working on this Website since June 2021. You can Visit my Profile page to read all of my content. Thank You so much to know about me.
Back to top button
Close