অনাসক্ত কর্ম সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের বাণী সমূহ তোমার ব্যক্তি জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করবে তার একটি বর্ণনা তুলে ধরো
ষষ্ঠ শ্রেণির হিন্দু ধর্মাবলম্বী সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। আশা করি তোমরা সকলেই ভালো আছ। তোমাদের জন্য আজকে এই ষষ্ঠ শ্রেণীর সপ্তম সপ্তাহের হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের দ্বিতীয় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর নিয়ে হাজির হলাম। আজকের এই পাঠ শেষে তোমরা অনাসক্ত কর্ম সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের বাণী সমূহ ব্যক্তি জীবনে প্রয়োগ করার উপায় বিষয়ে বর্ণনা করতে পারবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণি ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২৪ হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণির যে সকল শিক্ষার্থী হিন্দু ধর্মাবলম্বী তাদের জন্য হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণি সপ্তম অ্যাসাইনমেন্ট এর গণিত বিষয়ের সাথে।
হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা পাঠ্য বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ধর্মগ্রন্থ এর পাঠ ১ থেকে ৭ পর্যন্ত অধ্যায়নের পর শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট পেপার এ উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর লিখবে।
আপনি পছন্দ করতে পারেন-
৬ষ্ঠ শ্রেণি ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২৪ গণিত এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
৭ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২৪ বাংলা এবং কর্ম ও জীবন
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ অনাসক্ত কর্ম সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের বাণী সমূহ তোমার ব্যক্তি জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করবে তার একটি বর্ণনা তুলে ধরো।
সংকেতঃ শ্রীকৃষ্ণের প্রাসঙ্গিক কয়েকটি বাণী ব্যবহার করে তার ভিত্তিতে লিখতে হবে।
অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ শিক্ষার্থী লেখার ক্ষেত্রে পাঠক এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ নিয়ে লিখবে এবং পারিবারিক অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা নিয়ে লেখা যেতে পারে।
৬ষ্ঠ শ্রেণি ৭ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২৪ হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা উত্তর
তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেণির হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সপ্তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর উত্তর লিখে নিয়ে চিন্তায় আছো তাদের জন্য শতভাগ মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে অনাসক্ত কর্ম সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের বাণী সমূহ তোমার ব্যক্তি জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করবে তার একটি বর্ণনা তুলে ধরা হলো।
এটি অনুসরণের মাধ্যমে তোমাদের সপ্তম সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির হিন্দুধর্ম শিক্ষা বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লিখলে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে প্রত্যাশা করছি।
অনাসক্ত কর্ম সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের বাণী সমূহ ব্যক্তি জীবনে প্রয়োগ করার উপায়
অ্যাসাইনমেন্টঃ অনাসক্ত কর্ম সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের বাণী সমূহ তোমার ব্যক্তি জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করবে তার একটি বর্ণনা তুলে ধরা।
গীতায় ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে এবং ফলের আশা না করে নিজের কাজ করতে বলা হয়েছে। কাজটাই বড়, ফল যাই হোক। কর্মফলের কথা চিন্তা করতে থাকলে কাজের প্রতি একাগ্রতা আসে না। এভাবে ফলের আশা না করে কাজ করাকে বলে নিষ্কাম ফল।
এ প্রসঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- “ কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন। মা কর্মফলহেতুর্ভুর্মা সঙ্গেছষ্ণকর্মণি” – গীতা: ২/৪৭
অর্থাৎ, কর্মেই তোমার অধিকার, কর্মফলের কখনো তোমার অধিকার নেই। কর্মফলের প্রতি আসক্ত হয়ে যেন নিজ কর্তব্যের প্রতি অবহেলা করোনা।
অর্জুন আত্মীয়দের সাথে যুদ্ধ করতে চাইছেন না, এতে কোনো লাভ হচ্ছে না। এর কারণ আমাদের জন্ম এবং মৃত্যু ঈশ্বরের হাতে। সুতরাং, কারো মৃত্যু অর্জুনের যুদ্ধ করা বা না করার ওপর নির্ভর করে না। অর্জুন নিজেই কি জানেন কখন তার মৃত্যু ঘটবে। তাছাড়া ঈশ্বর আত্ম রূপে আমাদের মধ্যে থাকেন। তাই মৃত্যুর মাধ্যমে দেহের ধ্বংস হলেও আত্মার ধ্বংস হয় না।
এক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন-
ন জয়তে, ম্রিয়তে বা কদাচিৎ
নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ
অজো নিত্যঃ শাশ্বতেছয়ং পুরানো
ন হণ্যতে হন্যমানে শরীরে। – গীতা-২/২০
অর্থাৎ, আত্মার কখনো জন্ম বা মৃত্যু হয় না, অথবা পূনঃ পুনঃ তার উৎপত্তি বা বৃদ্ধি হয় না। তিনি জন্মরহিত, নিত্য, শাশ্বত এবং পুরাণ।
শরীর নষ্ট হলেও আত্মা কখনো বিনষ্ট হয় না। আত্মার সনাতন, অবিনশ্বর। শুধু স্থানান্তর হয় আত্মা কিভাবে জানতে পারলে আর দুঃখ থাকে না।
তখন সুখ-দুঃখ জয় পরাজয় সমান হয়ে যায়। গীতায় যোগের কথা বলা হয়েছে। যোগ হচ্ছে কর্মের কৌশল বা উপায়। নিষ্কাম কর্ম যোগ, জ্ঞানযোগ ভক্তিযোগ দ্বারা ঈশ্বরকে লাভ করা যায়।
যিনি ঈশ্বরের সান্নিধ্য বা অনুগ্রহ পাওয়ার জন্য আরাধনা করেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে ভক্ত বলেছেন। কৃষ্ণভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ করে থাকেন। তাই বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণের বাণী সমূহ গাভী স্বরূপ, আর দুদ্ধ হচ্ছে গীতা। গীতার জ্ঞানের কথা স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে শ্রবণ করেছেন।
Class 6 Assignment 8th Week PDF 2024
যেমনঃ ছাত্রনং অধ্যয়নং তপঃ – ছাত্রদের অধ্যায়ন করা হচ্ছে তাদের তপস্যা বা কর্তব্য।
আমাদের প্রত্যেকেরই আমাদের কর্ম করা উচিত। যা কিছু করা হয় তাই কর্ম। শ্রীমৎ ভগবত গীতায় প্রত্যেক কর্মের প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাদের স্ব-স্ব কর্ম করার জন্য বলা হয়েছে। আমাদের পরিচয় আমাদের জন্ম ভেদে নয় কর্ম বেঁধে।
সুতরাং বলা যায়, জাতীয় বর্ণভেদে বংশগত নয় গুণগত ও কর্মগত।
বাছাইকরা নমুনা উত্তর দেখুন:
সমাজের বিভিন্ন শ্রমজীবি মানুষের অবদান এবং তাদের মূল্যায়ন করার কৌশল
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শিরোনামে ৫০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ রচনা
পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন
-
এছাড়াও সকল শ্রেণির এ্যাসাইনমেন্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। এ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত যেকোন তথ্য পরামর্শ প্রয়োজন হলে তা আমাদের কমেন্টে জানান।