সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা উচ্চারনসহ এবং এর ফজিলত
হাদিসে থেকে পাওয়ায় যায়, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে তিনবার
( আউযুবিসমিল্লাহিস সামিঈল আলিমিমিনাশ শাইতানির রাজিম )পাঠ করার পর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার ওই বান্দার জন্য সত্তর হাজার রহমতের ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন। এবং সেই ফেরেস্তাগন ঐবান্দার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রহমত ও মাগফিরাতের জন্য দোয়া করতে থাকবে। এবং এই সময়ের মধ্যে সে বান্দা মারা গেলে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।
Sura Hasorer ses 3 ayat
আবার একই ভাবে যে বান্দা প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় তিনবার ( আউযুবিসমিল্লাহিস সামিঈল আলিমিমিনাশ শাইতানির রাজিম ) পাঠ করার পর সূরা হাশরে শেষের তিন আয়াত পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার ওই বান্দার জন্য সত্তর হাজার রহমতের ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন।এবং সেই ফেরেস্তাগন ঐবান্দার জন্য সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত রহমত ও মাগফিরাতের জন্য দোয়া করতে থাকবে। এবং এই সময়ের মধ্যে সে বান্দা মারা গেলে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে। (সুবহানআল্লাহ)
আল্লাহ তালা কত মহান । তিনি তার বান্দাদের গুনাহ মাপ করার জন্য এই সুরায় এতো বেশি ফজিলত দিলেন যে একবার এই সুরা পাঠ করলে এক সাথে ৭০ হাজার ফেরেস্তা সকাল থেকে সন্ধ্যা পযন্ত দোয়া করতে থাকে।
আল্লাহ আমাদের সকল কে এই আমল টি করার তৌফিক দান করুন ।( আমিন)
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত আরবীতে
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۖ هُوَ الرَّحْمَـٰنُ الرَّحِيمُ
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ
هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ ۖ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ ۚ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত বাংলা উচ্চারন
উচ্চারণ : আউজু বিল্লাহিস সামিঈল আলিমি মিনাশশাইত্বানির রাঝিম
১) হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু। আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি হুয়ার রাহমানুর রাহিম। ২) হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু। আল-মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আযিযুল ঝাব্বারুল মুতাকাব্বির। সুবহানাল্লাহি আম্মা ইউশরিকুন। ৩) হুআল্লাহুল খালিকুল বারিয়ুল মুসাওয়্যিরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউসাব্বিহু লাহু মা ফিসসামাওয়াতি ওয়াল আরদ্, ওয়াহুয়াল আযিযুল হাকিম।
আরও দেখুনঃ আয়াতুল কুরসী বাংলা উচ্চারণ অনুবাদ ও ফজীলত
অর্থ: সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাণী আল্লাহ তায়ালার নিকট বিতারিত শয়তান থেকে আশ্রয় চাহিতেছি তিনিই আল্লাহ! যিনি ব্যতিত কোনো মাবুদ নাই। তিনি সব গুপ্ত ও প্রকাশ্যের জ্ঞ্যনী। তিনি পরম করুনাময় দয়ালু। তিনিই আল্লাহ! যিনি ব্যতিত কোনো মাবুদ নাই। তিনি মহান বাদশাহ, অত্যন্ত পবিত্র, শান্তিদাতা, নিরাপত্তা বিধানকারী, রক্ষনাবেক্ষন কারী, সম্মানের অধিকারী, মহত্তের অধিকারী, গর্বকারী, মুশরিকদের শিরক হতে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র। তিনি আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা, সঠিকভাবে প্রস্তুতকারী, আকৃতিদান কারী, তাঁহার জন্য সুন্দর সুন্দর নাম রহিয়াছে। আসমান সমূহে ও জমিনে যাহা কিছু আছে সবই তাঁহার পবিত্রতা বর্ননা করে। এবং তিনি সম্মানের অধিকারী মহান কৌশলী।
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত
হজরত মাকাল ইবনে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে তিন বার আউজু বিল্লাহিস সামিঈল আলিমি মিনাশশাইত্বানির রাঝিম-সহ ‘সূরা হাশরের’ শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালা ৭০ হাজার রহমতের ফেরেশতা নিয়োগ করবেন।
সে ফেরেশতারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর আল্লাহর রহমত প্রেরণ করতে থাকবে। যদি ওইদিন সে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন তবে সে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।
আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যার সময় এ আয়াতগুলো পাঠ করবে তার জন্যও আল্লাহ তায়ালা ৭০ হাজার রহমতের ফেরেশতা নিয়োগ করবেন। যারা তার ওপর সকাল হওয়া পর্যন্ত রহমত প্রেরণ করতে থাকবে। আর যদি ওই রাতে সে মৃত্যুবরণ করে তবে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।