মূল্যবােধ লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা মূল্যায়ন
এইচএসসি ২০২৪ এর মানবিক বিভাগের সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি তোমরা খুব ভালো আছো। তোমাদের জন্য আজ এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ পঞ্চম সপ্তাহের গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ১ম পত্র বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা উত্তর- মূল্যবােধ লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা মূল্যায়ন নিয়ে হাজির হলাম।
আজকের আলোচনার সঠিকভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে তোমরা দেশের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার পঞ্চম সপ্তাহের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদানকৃত গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান খুব ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।
আমরা এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ এর গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ১ম পত্র এসাইনমেন্টের দেওয়া নির্দেশনা সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রশ্নে উল্লেখিত নির্দেশনাসমূহ ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব যাতে তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে সুবিধা হয়।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ পঞ্চম সপ্তাহের গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ১ম পত্র বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর
গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট
অ্যাসাইনমেন্ট: মূল্যবােধ, লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা মূল্যায়ন;
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি) :
ক) গৃহ ব্যবস্থাপনায় প্রেষণা সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহের ধারণা;
খ) মূল্যবােধ বিকাশে পরিবারের ভূমিকা;
গ) লক্ষ্য নির্ধারণের উপায়;
ঘ) মান নির্ধারণের মাধ্যম;
ঙ) মূল্যবােধ, লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা মূল্যায়ন;
চ) পাঠ্যপুস্তক, অন্যান্য সহায়ক গ্রন্থ, শ্রেণি শিক্ষক ও অভিভাবকের সহায়তা গ্রহণ;
ছ) ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট এবং মুঠোফোনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ;
জ) নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা;
গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান
ক) গৃহ ব্যবস্থাপনায় প্রেষণা সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহের ধারণা
প্রেষণা ব্যক্তিকে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে এবং লক্ষ্য অর্জনের দিকে ধাবিত করে। অর্থাৎ প্রেষণা ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী আচরন করতে অনুপ্রাণিত করে। গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রেষণা সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো হচ্ছে
- ১.মূল্যবোধ,
- ২.লক্ষ্য,
- ৩.মান।
গৃহ ব্যবস্থাপনার মূল্যবোধ :
ব্যক্তির কাছে যেসব বিষয় কাঙ্খিত ওপ্রিয় এবং যেসব বিষয়ে ব্যক্তির আচার-আচরণ ও কার্যাবলী কে প্রভাবিত করে সন্ত্রাসী বিধান করে তাই মূল্যবোধ। মূল্যবোধ মানুষের একটি আর্থিক সম্পদ, মানুষের ইচ্ছার মানদন্ড। এটি কোন বস্তু বা পরিস্থিতির মূল্য সম্পর্কে ব্যক্তির অনুভূতি বা কোন উদ্দীপকের প্রক্রিয়াকে বোঝায়। ব্যক্তির আচরণে মূল্যবোধের প্রভাব খুব বেশি। এটি মানুষের আদর্শ ও রীতিনীতি কে নিয়ন্ত্রণ কর। সমাজে মানুষের কাছে কাজের মূল্যায়ন করতে মানুষকে উদ্দেশ্যমূলক অর্থপূর্ণ আচরণ করতে সহায়তা করে।
মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য :
- নিজস্ব মূল্যবোধ ব্যক্তির নিকট উত্তম
- একজনের মূল্যবোধের অন্যজনের নিকট গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে।
- মূল্যবোধ ব্যক্তির অন্তর্নিহিত অবস্থা যা চেতন বা অবচেতন মনে অবস্থান কর।
- বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মূল্যবোধ স্থায়ী হওয়ার প্রবণতা রাখে ।
- আত্ম সৃজনশীলতা মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটায়।
লক্ষ্য :
প্রত্যেক মানুষের জীবনেই লক্ষ্য থাকে। লক্ষ বিহীনভাবে মানুষ বাঁচতে পারে না। মানুষ যা চায় যা হতে চায় তাই তার জীবনের লক্ষ্য। কোন কাজের সমাপ্তি কে লক্ষ বলে। আবার কোন কাজের সমাপ্তি ঘটালেই আরেকটি লক্ষ্যের উদ্ভব হয়। তবে সবক্ষেত্রেই লক্কর সমান তৃপ্তিদায়ক নাও হতে পার। কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হলে সুখ ও পরিচিতি আস। তবে মানুষ সবসময়ই লক্ষ্যে পরিতৃপ্তি পেতে চায।
লক্ষ্যের শ্রেণীবিভাগ
প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের সময় সীমা আছে। অর্থাৎ লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজন হয়। সময়ের ওপর ভিত্তি করে লক্ষ্যকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন-
- দীর্ঘমেয়াদি
- স্বল্পমেয়াদী বা মধ্যবর্তী
- তৎকালীন লক্ষ্য
মান :
মান, মূলধন ও লক্ষ থেকে সৃষ্ট মানদণ্ড। এটি লক্ষ্য অর্জনের প্রভাবিত করে। মান ব্যক্তির নিজস্বতা ও সমাজের দাবিতে কি সৃষ্টি হয়। সম্পদ ব্যবহারে গুণগত ও পরিমাণগত পরিমাপ হলো মান ;যেমন লক্ষ্য হচ্ছে বাড়ি তৈরি করা।তবে বাড়িটি কেমন মানে হবে, তা নির্ভর করবে একই ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হবে তার ওপর। মান সিদ্ধান্ত গ্রহণ কে প্রভাবিত করে। মান ভালো হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। আবার মান খারাপ হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। পারিবারিক জীবন যাপনের মান শুধু বিভিন্ন দ্রব্য ও সেবা কর্মের পরিমাণ ও গুনো কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে না। সেই দ্রব্য সামগ্রী ও সেবা কর্মের ব্যবহার পদ্ধতি এবং কি মূল্যবোধের আলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে তাও জীবনযাপনের মানে অন্তর্ভুক্ত।
শ্রেণীবিভাগ
মূল্যবোধের ভিত্তিতে মান কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
- প্রচলিত মান
- নমনীয় মান
জীবনযাত্রার ওপর ভিত্তি করে মানিকের দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
- পরিমাণগত মান
- গুনগতমান
খ) মূল্যবােধ বিকাশে পরিবারের ভূমিকা
মূল্যবোধের বিকাশ
ব্যাক্তির নিজস্ব পরিমন্ডলকে কেদ্র করে মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে । শৈশব মা যখন শিশ্তর যন্ত করে ,দুধ খাওয়ার তখন শিশ্ত মায়ের উপর আস্থা অর্জন করে, ফলে মাকে সে খুব মূল্য দেয় । এভাবেই পরিবার , সম্প্রদায় , সমাজ ও বিশ্বের সদস্য হিসেবে ব্যাক্তি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ,তা থেকেই ব্যাক্তির মূল্যবোধ গড়ে ওঠে ; যেমন পরিবার থেকে সৎ পথে চলা , বড়দের সম্মান করা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার মূল্যবোধ । সমাজ থেকে সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে চলা এবৎ বিশ্বে মানুষ হিসেবে মানবগোষ্ঠীর কল্যান কামনা ইত্যাদি মূল্যবোধ ব্যাক্তির জীবনে প্রতিফলিত হয় ।
আবার দৈনন্দিন জীবনে অভিজ্ঞতা এবৎ বিশ্বায়নের যুগে তথ্যের আদান প্রদানের মাধ্যমেও কিছু মূল্যবোধ গড়ে ওঠে ; যেমন সময়মতো কাজ করা । যোগাযোগ ও তথ্য সৎগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার । মূল্যবোধের বিকাশ অবিরাম ধারায় চলতে থাকে ।
পরিবারের মাধ্যম শিশ্তকাল থেকে মুল্যবোধ গঠনের ভিত্তি রচিত হয় । বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু মূল্যবোধ দৃঢ় হয় এবং কিছু মূল্যবোধ পরিশোধিত মার্জিত ও সুন্দর রূপ ধারণ করে। কিছু মূল্যবোধজন্মগত এবংকিছু মূল্যবোধ অর্জিত।সমূল্যবোধ বিকাশের ভিত্তি হলো –
- (১)ব্যক্তির জৈবিক ও জন্মগত চাহিদা,
- (২) পারিবারিক ঐতিহ্য,রীতিনীতি ,
- (৩)ধর্মও বিশ্বাস
- (৪)দল,
- (৫)শিক্ষা ও সংস্কৃতি
- (৬)সাহিত্য গনমাধ্যম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্পকলা,গবেষণা।
গ) লক্ষ্য নির্ধারণের উপায়
কোন কাজে পরিসীমাকে লক্ষ্য বলা হয়। আর সেই কাজের পরিসমাপ্তি কি দিয়ে করা হবে তা নির্ধারণ করতে পারাকে লক্ষ্য নির্ধারণ বলা হয়।
নিম্নে লক্ষ্য নির্ধারণ করা চারটি উপায় দেওয়া হলো:
সম্ভাব্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা :আপনার জীবনের লক্ষ্য গুলো নির্ধারণ করুন।। আপনি আপনার জীবনের জন্য না মা চান তার এটা কি সম্পর্কে নিজেকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করুন। যেমন আমি খুশি হতে চাই বা আমি জীবনে মানুষকে সহায়তা করতে চাই। তার জন্য আমাকে বা আপনাকে যা করতে হবে তা নির্ধারণ করায় হল সম্ভাব্য লক্ষ নির্ধারণ করা।
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ : একে দূরত্ব বা চূড়ান্ত লক্ষ্য বলা হয়। এই লক্ষ্য অর্জন সময় সাপেক্ষ। এই লক্ষ্য সব সময় মানুষকে মনে অবস্থান করে। এটি একটি গ্রামের লক্ষ লক্ষ উত্থিত হলে মানুষ জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যেমন লক্ষণ নিজেই পেশা গ্রহণ করে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করা।
স্বল্পমেয়াদী বা মধ্যবর্তী লক্ষ :একটু দূরে যেয়ে লক্ষ্য থাকে। দীর্ঘমেয়াদি বা চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করতে হলে স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য অর্জন করতে হয়। দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জন করতে হলে স্বল্পমেয়াদী লক্ষে রুম্মান নবান্ন হতে হয়। যেমন শিক্ষক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে শিক্ষার্থীকে পাবলিকে পরীক্ষাগুলোতে অধিক কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হতে হবে।
তৎকালীন লক্ষ্য :একেবারে নিকটবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে তৎকালীন লক্ষ। এটি স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিবর্তন করতে হয়। যেমন ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যায় পড়াশোনা করার জন্য।
ঘ) মান নির্ধারণের মাধ্যম
মূল্যবোধ ও লক্ষ্য থেকে সৃষ্ট মানদণ্ডকেই মান বলে। মান ব্যক্তির নিজ সত্তা ও সমাজের দাবী থেকে সৃষ্টি হয়। সম্পদ ব্যবহারে গুণগত ও পরিমাণগত পরিমাপ পরিমানই হলো মান।যেমন লক্ষ্য হচ্ছে বাড়ি তৈরি করা। তবে বাড়িটি কেমন হবে তা নির্ভর করে কি ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হবে তার ওপর। আবার জীবন-যাপনের মান নির্ভর করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সেবা কর্মের ভোগ,ব্যক্তির মৌলিক চাহিদা, আরাম -বিলাসিতার বস্তু এবং বস্তুর পদ্ধতির উপর। মূল্যবোধের ভিত্তিতে মান কে দুই ভাগে এবং জীবনযাত্রার ওপর ভিত্তিতে মান কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
নিম্নে মানের মোট ৪টি ভাগ উল্লেখ করা হলো :
প্রচলিত মান :সামাজিক বিধি নিষেধ ও নিয়মকানুন কে ভিত্তি করে এই মান সৃষ্টি হয়। এইমান সহজে পরিবর্তিত হয় না যেমন আমাদের দেশে ছেলেরা শার্ট প্যান্ট এবং মেয়েরা সেলোয়ার-কামিজ পরিধান করে।
নমনীয় মান :পরিস্থিতিও অবস্থা অনুযায়ী মান নির্ধারিত হয় এই নমনীয় মান। নমনীয় মান মানুষকে স্বাধীনভাবে চলার এবং পছন্দ করার সুযোগ দান করে। যেমন মেয়েটি বিজ্ঞান বিভাগে পড়বে নাকি ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়বে এটা স্বাধীনভাবে বাছাই করার সুযোগই হচ্ছে নমনীয় মান।
পরিমাণগত মান :পরিমাণগত সাধারণত কোন কিছুর ও জনঘনত্ব পরিমাণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করতে পরিমাণগত মান যেমন নাকে যে কিলোমিটার, লিটার, মিটার, ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
গুনগত মান :গুনগতমান ভঙ্গুর জ্ঞান বা বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিবেচনা করা হয়। একজন ব্যক্তি কি ধরনের গুণগতমানসম্পন্ন দ্রব্য সামগ্রিক বা সেবা ক্রয় বা ভোগ করবে তার নির্ভর করে ওই ব্যক্তির উচিত পর্যন্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও মনোবোধের ওপর।
ঙ) মূল্যবােধ, লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা মূল্যায়ন
মূল্যবোধ, লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতামূলক করা হলো :
- মূল্যবোধ, লক্ষ্য ও মান পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং গৃহ ব্যবস্থাপনার চালিকাশক্তি। মূল্যবোধকে ভিত্তি করে লক্ষ্য ওমান গড়ে ওঠে। আবার লক্ষ ও মান একে অপরকে এবং উভয় একত্রে মূল্যবোধকে প্রভাবিত করে।
- মূল্যবোধ সচেতন হয়ে লক্ষ্য স্থির করতে হয়। লক্ষ্য স্থির করে সম্পদ ব্যবহারে গুণগত ও পরিমাণগত মান নির্ধারণ করলেও কৃতকার্য হওয়া যায়।
- মূল্যবোধ সুস্পষ্ট নয় লক্ষ সুস্পষ্ট পরিমাপের মাধ্যম এর তুলনায় অধিক সুস্পষ্ট। লক্ষ্য.- শিক্ষক হওয়ারমান -নিয়মিত পড়াশোনা করা। পরীক্ষায় ভালো ফল করা। মূল্যবোধ -জ্ঞান অর্জন করা।
- মূল্যবোধ ব্যবস্থাপনায় প্রেরণা যোগায় ।লক্ষ দিক নির্দেশনা দেয় এবং মান ফলাফল প্রকাশ করে। লক্ষ ও মানের তুলনায় মূল্যবোধ অধিকতর ব্যাপক। ব্যক্তি তে মূল্যবোধের তারতম্য ঘটে।
- মূল্যবোধের লক্ষ্যের ভিত্তি লক্ষ্যের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য থাকে। তবে কিছু লক্ষ্য সবার ক্ষেত্রে একই রকম। যেমন সচ্ছলভাবে জীবন যাপন।
লক্ষের মত মান মূল্যবোধ থেকে উৎপন্ন হয়। মানের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য থাকে। যেমন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জীবন যাত্রার মান ভিন্ন। ধনী পরিবারের জীবনযাত্রার মান ও দরিদ্র পরিবারে জীবনযাত্রার মানের অনেক তারতম্য পরিলক্ষিত হয়।
একটি লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে এক বা একাধিক মূল্যবোধ উদ্যোগ করতে পারে। আবার একটি মূল্যবোধ একাধিক লক্ষ্যের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। যেমন লক্ষ পড়াশোনায় ভালো ফল। ভালো ফল মর্যাদা বৃদ্ধি করে ও উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে।
আরও দেখুন:
- জানা থেকে অজানায় গমনই প্রকৃত আরোহের প্রাণ- ধারণাটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ
- যৌথমূলধনী কোম্পানির মূলধনের ধারণা ও শেয়ার ইস্যু সংক্রান্ত লেনদেনের হিসাবরক্ষণ সহায়ক তথ্য
- এইচএসসি ২০২৪ পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশিত | সকল বিভাগ পিডিএফ ডাউনলোড