Assignment

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আমার করণীয়

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় অনুযায়ী (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণয়নকৃত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যসূচির আলােকে নির্ধারিত গ্রিড অনুযায়ী ১৪তম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাউশি অধিদপ্তর। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আলোচনা করবো অষ্টম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান- কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আমার করণীয় সম্পর্কে।

অষ্টম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট

islam8

বিষয়: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৩

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ: “কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আমার করণীয়।

সংকেতঃ-

১। কুরআন ও হাদিসের আলােকে সমাজ সেবার গুরুত্ব।

২। কোভিড পরিস্থিতিতে যে সব সহায়তা লাগবে তার তালিকা।

৩। কীভাবে অর্থ সংগ্রহ করা যেতে পারে তার পরিকল্পনা।

৪। সংগৃহিত অর্থ উক্ত জনগােষ্ঠীর সহায়তার জন্য কীভাবে ব্যয় করবে তার নির্দেশনা।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

পাঠ্যপুস্তক থেকে উক্ত বিষয়ে ধারণা নেয়া যেতে পারে শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ২০০ শব্দ এবং উপযুক্ত কুরআন হাদিসের দলিলসহ উপস্থাপন করতে হবে। প্রয়ােজনে অভিভাবকের সহযােগিতা নেয়া যেতে পারে মােবাইল বা যে কোন ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয় শিক্ষকের সাথে যােগাযােগ করা যেতে পারে ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট স্বহস্তে লিখতে হবে।

অষ্টম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

কুরআন ও হাদিসের আলোকে সমাজ সেবাঃ

ইসলামে ইবাদতের পরিধি অত্যন্ত বিস্তৃত ও প্রশস্ত। তা মানুষের এমন অনেক কাজকে ইবাদতের মর্যাদা দিয়েছে, তাকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম ঘোষণা করেছে, যা তাদের কল্পনায়ও আসে না। মানবকল্যাণে করা সব কাজ ইসলামে ইবাদত হিসেবে গণ্য। শর্ত হলো, তা নিঃস্বার্থ মানবসেবা হতে হবে। সেবক বিশ্বাস করবে আমি এই কাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করব। তার কাছ থেকেই প্রতিদান পাব। সে সুনাম ও সুখ্যাতির আশা করবে না।

প্রতিটি এমন কাজ, যা চিন্তিত ব্যক্তির চিন্তা, বিপদগ্রস্তের বিপদ, আহতের ক্ষত, বঞ্চিতের অধিকার, মজলুমের জুলুম, পরাভূত ব্যক্তির পরাজয় দূর করার উদ্দেশ্যে হয়, তা ইবাদত একইভাবে যে কাজের মাধ্যমে দ্বিনের পথ প্রশস্ত হয়, দরিদ্রের অভাব দূর হয়, পথভ্রান্ত পথিক পথ পায়, অজ্ঞ ব্যক্তির জ্ঞানপ্রাপ্তি হয়, মুসাফির আশ্রয় পায়, সৃষ্টির কষ্ট দূর হয়, মানুষ সহজে রাস্তায় চলতে পারে—এর সবই ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে যদি ব্যক্তির নিয়ত বিশুদ্ধ হয়। এর কতগুলোকে আল্লাহ ও রাসুল (সা.) ঈমানের অংশ, কতগুলোকে ইবাদত ও কতগুলোকে পুরস্কারযোগ্য আমল বলেছেন।

সুতরাং আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও তাঁর কাছে প্রতিদানপ্রাপ্তির একমাত্র মাধ্যম নামাজ, রোজা, জিকির ও দোয়া নয়, ইবাদতের পাশাপাশি মুমিন সমাজসেবামূলক কাজের মাধ্যমেও নিজের নেকির পাল্লা ভারী করতে পারে। এসব কাজ শ্রমসাধ্য না হলেও আল্লাহর দরবারে মূল্যবান। পরকালে আল্লাহর দাড়িপাল্লায় ভারী আমল হিসেবে বিবেচিত হবে। এ জন্য মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের রোজা, নামাজ ও সদকার চেয়ে মর্যাদাবান আমলের সংবাদ দেব?’ তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম রা.) বললেন, হ্যাঁ।

তিনি বললেন, ‘মানুষের মাঝে সমঝোতা করে দেওয়া। কেননা মানুষের মধ্যকার বিশৃঙ্খলা ধ্বংসাত্মক।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৭৫০৮)রোগীর খোঁজখবর নেওয়ার পুরস্কার রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসে এভাবে বিবৃত হয়েছে, ‘যখন কোনো ব্যক্তি কোনো রোগীকে দেখতে যায়, আসমানে একজন প্রার্থনাকারী প্রার্থনা করতে থাকে, তুমি সুখী হও, তোমার পথচলা বরকতময় হোক, জান্নাতে তুমি স্থান লাভ করো।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৪১২)

রাসুলুল্লাহ (সা.) কিয়ামতের একটি চমৎকার দৃশ্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন, যেখানে মহান স্রষ্টা তাঁর বান্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বলবেন, হে আদম সন্তান, আমি অসুস্থ ছিলাম তুমি আমার সেবা করোনি।বান্দা বলবে, হে প্রভু, আমি আপনার সেবা কিভাবে করব, আপনি তো জগৎসমূহের প্রতিপালক। আল্লাহ বলবেন, তুমি জানতে না আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল? তুমি তার সেবা কেন করোনি? তুমি কি জানতে না, তার সেবা করলে তুমি তার কাছে আমাকে পেতে? হে আদম সন্তান, আমি ক্ষুধার্থ ছিলাম, তুমি আমাকে আহার করাওনি।

বান্দা বলবে, হে আমার প্রভু, আপনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, আপনাকে আমি কিভাবে খাবার খাওয়াব? আল্লাহ বলবেন, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, তুমি তাকে দাওনি। তুমি কি জানতে না, যদি তুমি তাকে খাওয়াতে, তবে তা আমার কাছে এসে পেতে? হে আদম সন্তান,আমি তোমার কাছে পানি পান করতে চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে পান করাওনি। বান্দা বলবে, হে আমার প্রভু, আপনি জগৎসমূহের প্রতিপালক আমি কিভাবে আপনাকে পানি পান করাব? আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি পান করতে চেয়েছিল, তুমি তাকে পান করাওনি। যদি তুমি তাকে পান করাতে, তবে তুমি তা আমার কাছে এসে পেতে।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৪২৬০)।সুতারাং,সমাজসেবাকে ইসলামে অনেক গুরত্ব দিয়েছে,, যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হয়।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যেভাবে সহায়তা করব তার তালিকাঃ

  • ১.সকলের মধ্যে মাস্ক বিতরন।
  • ২.সকলকে বিভিন্ন হ্যান্ড সেনিটাই জার বিতরন।
  • ৩.যারা কাজ করতে পারছে না,তাদেরকে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
  • ৪.যারা আর্থিকভাবে কষ্টের মধ্যে আছে, তাদেরকে সহায়তা করা।
  • ৫.এটির কারণে অনেকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে, তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা।
  • ৬.এটির কারণে অনেকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে, তাদেরকে খাদ্য বিতরন করা।
  • ৭.অনেক গরিব -এতিম খাবার খেকে পারছে না,,কারন তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে,, তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়।
  • ৮.যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে,,তারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না,,তাদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া।
  • ৯.অনেক পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি মারা গিয়েছে,,ঐসব পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। নানানভাবে এই পরিস্থিতিতে অনেকে অনেক সমস্যার মধ্যে বিদ্যমান। তাই,আমাদের কে যে যেভাবে পারে সেবার কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

যেভাবে অর্থ সংগ্রহন করা যেতে পারেঃ

১.সবার কাছ থেকে যাকাতের টাকা নেওয়া যেতে পারে, যা অসহায় মানুষের সেবার কাজে বিতরন করা।

২.সবাইকে দান-সদকা সম্পর্কে বলা,এর গুরত্ব সম্পর্কে বলা,,যার মাধ্যমে সবাইকে দান করার জন্য উৎসাহিত করা।

৩.যে যাদান করতে পারে তার কাছ থেকে তা সংগ্রহ করা।

৪.ধনীদের কে তার সম্পদের উপর গরিবের হক সম্পর্কে অভিহিত করা।

৫.ধনীদের কে দানের মাধ্যমে আখিরাতে জান্নাত পাওয়ার কথা বুঝিয়ে টাকা নেওয়া যেতে পারে।

নানানভাবে যে যেভাবে পারে, টাকা সংগ্রহ করে অসহায় মানুষের কাছে সেবা পৌছিয়ে দেয়া।

সংগ্রহিত অর্থ জনগোষ্ঠীর সহয়তায়ঃ

১.স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বিভিন্ন উপকরন গরিবদের দেওয়া।

২.যারা আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন, তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা।

৩.সবার মাঝে খাদ্য বিতরন করা যেতে পারে

৪.ঔষধ কিনে দেওয়া যেতে পারে।

নানানভাবে সাহায্য করা যেতে পারে।

এটিই তোমাদের অষ্টম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান- কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আমার করণীয়।

আরো দেখুন:

 

Tags

Siam Shihab

Hello, I'm Siam Shihab. I write Content about all Trending News and Information. I'm working on this Website since June 2021. You can Visit my Profile page to read all of my content. Thank You so much to know about me.
Back to top button
Close