আইসোটোপ কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা রসায়ন বইয়ের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্নের উত্তর জানবো। রসায়ন পড়তে গেলে অবশ্যই আমাদের এই প্রশ্নটি সম্পর্কে জানা লাগবে এবং উত্তর জানা লাগবে। প্রশ্নটি হল আইসোটোপ কাকে বলে এবং এর বৈশিষ্ট্য। রসায়ন পড়ার ক্ষেত্রে এই আইসোটোপ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আইসোটোপ কাকে বলে? আইসোটোপ এর বৈশিষ্ট্য সহ খুঁটিনাটি সব কিছু জানবো। বন্ধুরা তাই আর দেরি না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালভাবে পড়ুন।
আইসোটোপ কাকে বলে?
আইসোটোপ: ভিন্ন ভর সংখ্যা বিশিষ্ট একই মৌলের পরমানুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে। প্রোটন সংখ্যা এক হওয়ার কারণে এদের পরমাণু ক্রমাঙ্ক এবং ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসও এক হয়। তার ফলে এরা একই ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম দেখায়।
সকল মৌলিক পদার্থ অসংখ্য পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত। স্বাভাবিক ভাবে একটি মৌলের সব পরমাণুর ভর, আকার, প্রোটন সংখ্যা, নিউট্রন সংখ্যা, ভর সংখ্যা একই। কিন্তু কোন একটি মৌলিক পদার্থের মধ্যে অবস্থিত পরমাণুগুলোর মধ্যে অল্প কিছু সংখ্যক পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা বা ভর সংখ্যা এক নয়, ভিন্ন। এদেরকে একে অপরের আইসোটোপ বলে।
আপনি পছন্দ করতে পারেন :
আইসোটোপ এর বৈশিষ্ট্য
যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন হয়,সেসব পরমাণুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে। যেমন, হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ হলো- H= হাইড্রোজেন বা প্রোটিয়াম, D = ডিউটেরিয়াম, T = টিট্রিয়াম
১. আইসোটোপ সমূহ একই মৌলের পরমানু।
২. তাদের পারমানবিক সংখ্যা তথা প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন। কারণ নিউট্রন সংখ্যা পরস্পর থেকে ভিন্ন।
৩. পারমানবিক সংখ্যা একই হওয়ায় পরস্পরের আইসোটোপসমূহ পর্যায় সারনিতে একই অবস্থানে থাকে। এজন্য এদের নাম আইসোটোপ । গ্রীক ভাষায় iso মানে একই এবং tope মানে স্থান।
প্রিয় পাঠক তাহলে আজকে আমরা এখানেই শেষ করছি। । পরবর্তী সময়ে আবারও হাজির হবো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। এছাড়াও কোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তা আমাদের কমেন্ট করে জানান।
আরও দেখুন: