লােকশিল্পের যে কোনাে একটি উপাদান প্রস্তুতকরণ
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৮ম সপ্তাহের চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লােকশিল্পের যে কোনাে একটি উপাদান প্রস্তুতকরণ সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা অ্যাসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো।
৬ষ্ঠ শ্রেণি ৮ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৪ চারু ও কারুকলা
অষ্টম সপ্তাহে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিষয়ের সাথে চারু ও কারুকলা বিষয়ের দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। তাদের পাঠ্য বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ঃ বাংলাদেশের লোকশিল্প ও কারুশিল্প অংশ অধ্যায়নের পর এই কাজটি করতে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট উল্লেখিত নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করে মূল্যায়ন রুবিক্স অনুযায়ী অষ্টম সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির চারু ও কারুকলা বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট লিখে ইংরেজি বিষয়ের সাথে জমা দিবে।
আপনি পছন্দ করতে পারেন-
৬ষ্ঠ শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ইংরেজি এবং চারু ও কারুকলা
৭ম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ইংরেজি এবং চারু ও কারুকলা
শ্রেণি: ৬ষ্ঠ, এ্যাসাইনমেন্ট ক্রমঃ ২, অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনাম তৃতীয় অধ্যায়: বাংলাদেশের লােকশিল্প ও কারুশিল্প;
পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠনম্বর ও বিষয়বস্তুঃ পাঠ- ১: লােকশিল্পের ধারণা, পাঠ- ৪: কারুশিল্পের ধারণা, পাঠ- ২ ও ৩: বাংলাদেশের লােকশিল্পের পরিচয়, পাঠ- ৫ ও ৬: বাংলাদেশের কারুশিল্পের পরিচয়;
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ লােকশিল্পের যে কোনাে একটি উপাদান প্রস্তুতকরণ।
সংকেত: ১। মাটির পাত্রে রঙ দিয়ে মনের মতাে করে নকশা তৈরি, ২। কাগজে নকশা অঙ্কন, ৩। কাগজের বা অন্য উপজকরণে হাত পাখা তৈরি, ৪। মনের মতাে যে কোনাে উপাদান, ৫। যেকোনাে উৎস্য ব্যবহার করে ধারণা নেয়া যেতে পারে।
নির্দেশনাঃ যে কোনাে আকারের মাটির পাত্রে বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে নকশা করা যাবে এবং সহজলভ্য মাটির পাত্র, সহজলভ্য রঙ ব্যবহার করা যাবে।
যে কোনাে কাগজে যে কোনাে নকশা করা যাবে (যে কোনাে মাধ্যমের রঙ ব্যবহার করা যাবে)। সহজলভ্য রঙ ব্যবহার করা যাবে। প্রস্তুতকৃত উপাদানটি সহজে পরিবহণযােগ্য, জমাদানের উপযােগী হতে হবে।
লােকশিল্পের যে কোনাে একটি উপাদান প্রস্তুতকরণ
বাঙালির জীবনসম্পৃক্ত বিবিধ শৌখিন শিল্পোপকরণের মধ্যে শখের হাঁড়ি অন্যতম। এর রং, নকশা, মোটিফ এবং স্টাইলের মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় চিরায়ত বাঙালি মানসের হারিয়ে যাওয়া আদিমতম ইতিহাসের স্মারক।পণ্য হিসেবে বাংলার শখের হাঁড়ির ঐতিহ্য অনেক পুরনো।
উৎসবপ্রিয় বাঙালির প্রতিদিনের জীবন, ধর্ম-সংস্কৃতি, আনন্দ-বেদনা এবং চিন্তার সাথে শখের হাঁড়ি একাকার হয়ে আছে। বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলভেদে মাটির তৈরি পাত্রের নানা বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্য গড়নে, অলংকরণে ও আকারে লক্ষণীয়।
শখের হাঁড়িতে রং করার জন্য প্রথমে তেতুলের বিচি ভেজে উপরের লাল খোসা ফেলে দিয়ে তা পানিতে ভিজিয়ে ছেঁচে জ্বাল দিয়ে আঠা বের করা হয়। ঐ আঠাতে চক পাউডার দিয়ে হাঁড়িতে প্রলেপ দেওয়া হয়।
এইভাবে দুইবার প্রলেপ দিতে হয়। তারপরে পিউরী (হলুদ রং) তেতুলের বিচির আঠা দিয়ে আরেক বার প্রলেপ দিতে হয়। তারপর রং অর্থাৎ নকশা করা; (যেমন নীল, গেরীমাটি, সবুজ) ইত্যাদি রং তেতুল বিচির আঠা দিয়ে রং, নকশা করতে হয়।
লাল বা খুনি রং দুধ দিয়ে গুলিয়ে রং করতে হয়। এই রং ছাগলের ঘাড়ের একগুচ্ছো চুল পানিতে ভিজিয়ে হাতের মুঠে নিয়ে ছুচালো হয়েছে কিনা নিশ্চিত হয়ে কেটে তা বাঁশের কঞ্চিতে চিকন করে তার মধ্যে গোড়ার অংশটা সুতা দিয়ে তুলির মত করে বেঁধে সেই তুলি দিয়ে রঙের কাজ হয়।
বর্তমানে চকচকে করার জন্য রং দেওয়ার পর বার্নিশ, রজন, চাঁচ ইত্যাদির প্রলেপ দেওয়া হয়।” আগে মাছ, পাখি, হাতি, ঘোড়া, ফুল, বিভিন্ন রকম ফুল, পাতা, চিরুনী ইত্যাদির নকশা প্রচলিত ছিল। বর্তমানে অনেক রকম ফল, ফুল, ইত্যাদি নতুন নকশা করা হয়। আগে মাছ, কাঁটা, ফুল ও দলের নকশা বেশি ব্যবহৃত হতো।
বর্তমানে সেগুলো ছাড়াও অনেক রকমের ফল, ফুলের নকশা তৈরি করে। প্রকৃতি থেকে দেখেই নকশা হাঁড়িতে তুলি করা হয়।জনৈক শিল্পী জানান, “গৌরীর বিয়ের সময়ে পালের সৃষ্ট, তখন থেকে নকশা ব্যবহৃত হয়। আগে রং ছিলনা। সে সময় আতপ চালকে পিসে পানি দিয়ে গুলিয়ে হাঁড়িতে বা ঘটে রঙ্গের প্রলেপ দেওয়া হতো। তারপর তিনটা সিদুরের ফোটা দিতো, তিনটা চন্দনের ফোটা দিত। পরে রঙের ব্যবহার হয়।
এই ছিল তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৮ম সপ্তাহের চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর।
আরো দেখুন-
বাংলা নববর্ষকে সার্বজনীন উৎসব বলতে পারার কারণ ও নববর্ষ উদযাপন
One of my favorite dishes and its preparing methods.
মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক দলসহ সকলের ভূমিকা মূল্যায়ন